ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের দ্রুত সমাধান না হলে পশ্চিমা দেশগুলো গোটা বিশ্বের কাছে তাদের বিশ্বাস হারাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যদি এই সংঘাত নিরসনে ব্যর্থ হয়, তবে তারা দ্বিচারিতার অভিযোগেও অভিযুক্ত হতে পারে। ফলে বিশ্বের কাছে আস্থার সংকটে
গত শুক্রবার (২৩ মে) দুপুর তিনটার দিকে, গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে কর্মরত শিশু চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জার যখন নিজের সাত সন্তানের পোড়া দেহাবশেষ গ্রহণ করেন। তাঁর আরও দুই সন্তান তখন চাপা পড়েছিল ধ্বংসস্তূপের নিচে।
কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব। এবার যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে আগেভাগে সম্মত হয়ে যায় ইসরায়েল, যা অত্যন্ত বিরল। অন্যদিকে, হামাস অভিযোগ করছে—যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে উপেক্ষিত ফিলিস্তিনি স্বার্থ। তবে, কী আছে ওই প্রস্তাবে তা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি কি না সেবিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসের কাছে যারা এখনো জিম্মি রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ
উত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতাল—আল অওদা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গাজায় কার্যত আর কোনো হাসপাতাল অবশিষ্ট থাকবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএফএইচ) বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১০ জন। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৬২ জন। হামাসের মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
তবে এসব পদক্ষেপের প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। ব্রিটিশ আইনি সংস্থা পিটার্স অ্যান্ড পিটার্সের সিনিয়র পার্টনার মাইকেল ও’কেইন বলেন, ‘এটিকে আমরা বলি সিগন্যালিং। সরকার জানিয়ে দেয়, আপনার আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’ বিশেষ করে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অর্থমন্ত্রী স্মতরিচের ওপর কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্
দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনীর কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। দাবি করেছেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আর ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে পারছেন না।
চলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের ‘পদ্ধতিগতভাবে’ মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ। ১৯ মাস ধরে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে এটি আইডিএফের খুবই সাধারণ কৌশল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
গতকাল ত্রাণ সরবরাহ করছিল নতুন মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন—জিএইচএফ। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণ পরই দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ ধরে তীব্র খাদ্য সংকটের পর স্বাভাবিকভাবেই ত্রাণ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে গাজার বাসিন্দারা।
গাজার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলের নজিরবিহীন কঠোর সমালোচনা করেছেন। বার্লিন সাফ জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন কোনো অস্ত্র তারা ইসরায়েলকে সরবরাহ করবে না এবং প্রয়োজনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। সোজা কথায় দখল করে নেবে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর এই হুমকি দিয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা ইসরায়েলি গণমাধ্যম ‘ইসরায়েল হায়োমের’ বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার ৯৫ শতাংশ জমিই চাষবাসের উপযোগী নয়। মূলত, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণেই এমনটা হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওএসএটি) নতুন ভূ-স্থানিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার পাঁচ শতাংশেরও কম আবাদি জমি এখন চাষোপযোগী।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিনই বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গতকাল সোমবার সেই মিছিলে যোগ দিল আরও ৮১ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। আজ মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাওয়ায় ও জরুরি মানবিক সহায়তা বন্ধ করায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেক ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রকাশ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর অভূতপূর্ব
আবারও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হলো গাজার একটি স্কুল। গতকাল রোববার, স্থানীয় সময় রাতে বাইত লাহিয়ার ফাহমি আল-জারজাবি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে স্কুলটি বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।